বিএনপির গায়েবানা জানাজা কর্মসূচির পর পুলিশের ধাওয়া
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিএনপির গায়েবানা জানাজা কর্মসূচি
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে নিহত ছয়জনের স্মরণে বিএনপির গায়েবানা জানাজা কর্মসূচির পর পুলিশের সঙ্গে কিছুক্ষণ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় একপক্ষ আরেকপক্ষের দিকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেছে।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিএনপি এই কর্মসূচির আয়োজন করেছিল। আজ বুধবার দুপুর একটার পর দেখা যায়, জায়গাটি মূলত পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে তল্লাশির পর। সেখানে বিএনপির বুদ্ধিবৃত্তিক সংগঠন জি-৯-এর সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেনসহ কয়েকজনকে আটকের খবরও পাওয়া যায়।
বায়তুল মোকাররমে জোহরের নামাজের পর বিএনপি গায়েবানা জানাজা কর্মসূচি পালন করে। এরপর দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কিছু সময় বক্তব্য দেন। গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা সাইফুল হক, জোনায়েদ সাকিসহ নেতাকর্মীরা বায়তুল মোকাররমে ঢুকতে চেয়েছিলেন। তবে তাদের বাধা দেওয়া হয়।
কর্মসূচিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লা বুলু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা অংশ নেন।
নামাজ শেষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, গায়েবানা জানাজায় অংশ নিতে মুসল্লিদের বাধা দেওয়া হয়েছে। তিনি এর নিন্দা জানান। তিনি আরও বলেন, সরকার ইচ্ছা করলে আলোচনার মাধ্যমে কোটা সমস্যার সমাধান করতে পারত। তা না করে বর্বরভাবে হামলা করে মানুষ হত্যা করা হয়েছে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বক্তব্য দিয়ে মসজিদের উত্তর গেট থেকে বের হওয়ার পর সেখানে আগে থেকে উপস্থিত গণতন্ত্র মঞ্চ ও বিএনপির কিছু নেতাকর্মী স্লোগান দেওয়া মাত্রই পুলিশ তাদের ধাওয়া করে। এরপর তারা ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করেন। পুলিশ পাল্টা রাবার বুলেট ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এর আগে বিএনপির নেতাকর্মীরা বায়তুল মোকাররমের আশপাশ এবং পল্টনের বিভিন্ন গলিতে অবস্থান নিয়েছিলেন। পুলিশ গিয়ে তাদের ধাওয়া করে তাড়িয়ে দেয়। গলিগুলোয় পুলিশের অবস্থান দেখা যায়।
সকালে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দাবি করেন, গায়েবানা জানাজা কর্মসূচিতে ব্যবহারের জন্য বায়তুল মোকাররমে নেওয়া মাইক পুলিশ কেড়ে নিয়েছে।
এদিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে অভিযান চালানোর পর কার্যালয়ের সামনে হলুদ ফিতা টানিয়ে দিয়েছে পুলিশ। বিএনপি নেতারা বলছেন, কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। নেতাকর্মীদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলন থেকে দৃষ্টি ফেরাতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশ অস্ত্রসহ বিস্ফোরক রেখে তা উদ্ধারের নাটক মঞ্চস্থ করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। একই সঙ্গে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্রধান ফটক তালাবদ্ধ করে ক্রাইম সিন করে রেখেছে বলে মনে করে দলটি। এ বিষয়ে দেশবাসীসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Matribhumir Khobor
কমেন্ট বক্স